আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাজেটের ২৫ ভাগ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের দাবী

জাতীয় বাজেটের ২৫ ভাগ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের দাবীতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকাল ১১টায় চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় তারা শিক্ষা সংকোচন ও শাসকদের বানিজ্যিকীকরণ বন্ধ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ক্ষেত্রে পূর্বের পয়েন্ট বহাল রাখা, সীতাকুন্ডে অগ্নিকান্ডের জন্য দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবী জানান।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলার সভাপতি মুন্নি সরদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছাত্র নেতা সুষ্মিতা মরিয়ম , সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রাতুল, সহ-সভাপতি রিনা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক নাছিমা আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘আগামীকাল ৯ জুন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হবে। বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা বলে, প্রতি বছর বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেলেও সামরিক খাতসহ অনুৎপাদনশীল খাতগুলোতে বরাদ্দের পরিমান বাড়ছে এবং তার বিপরীতে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ দিন দিন কমছে। শিক্ষা খাতের সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ খাত মিলিয়ে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানোর অপচেষ্টা শুরু হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। দীর্ঘ দিন ধরে জাতীয় বাজেটের ২৫ ভাগ ও জাতীয় আয়ের ৮ ভাগ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের দাবি ছাত্র সমাজ উত্থাপন করে আসছে, তা বরাবরই উপেক্ষিত হচ্ছে।’

তারা আরও বলেন, জাতীয় বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বনিম্ন, জিডিপির মাত্র ২.২ ভাগ। কিন্তু ১৯৭২ সালে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিলো মোট বাজেটের ২২ শতাংশ, আর বর্তমানে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ১১.৬৯ শতাংশ। বাণিজ্যিক থাবায় দেশের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষত বিক্ষত। অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে নতুন গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে যা ছাত্র সমাজের আকাঙ্খার বিরুদ্ধে। বিগত সময়ে ২.৫ পয়েন্ট দিয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারতো কিন্তু এখন আবেদন করতে গেলে ৩.৫০ পয়েন্ট লাগবে, এর কম পয়েন্ট হলে কোনো শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে না। সরকারের এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগের সিদ্ধান্ত পূর্ণবহাল রাখতে হবে।

বক্তারা সীতাকুন্ডে বি এম ডিপোতে অগ্নিকান্ডের ঘটনার সাথে যুক্তদের সঠিক তদন্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা ও নিহতদের আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।